হাইব্রিড গাড়ি চালু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের মানুষ হাইব্রিড গাড়ি কেনার দিকে ঝুকেছে বিরাটভাবে। আর হাইব্রিডগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। প্রতিটি ব্র্যান্ড তাদের হাইব্রিড গাড়ির মডেলে অনন্য সব বৈশিষ্ট্যের ছাপ রেখে অন্যান্য ব্র্যান্ড ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় মগ্ন। এর মধ্যে টয়োটা প্রিয়াস অন্যতম। গাড়িটি বাংলাদেশের রাস্তায় অতি পরিচিত।
প্রিয়াস গাড়ির কয়েকটি ফিচার তুলে ধরা হলো-
এক্সটেরিয়র
গাড়িপ্রেমীদের মধ্যে টয়োটা প্রিয়াস কেন বেশী জনপ্রিয়? প্রধানত এর অনন্য ও শক্তিশালী কাঠামোগত ডিজাইন। পাশাপাশি টয়োটা প্রিয়াস এর স্বতস্ফূর্ত নান্দনিকতা, হ্যান্ডলিং এবং স্পোর্টি এস্থেটিকস। এজন্য।
এই স্বপ্রতিভ মডেলের ৪ দরজার হ্যাচব্যাক গাড়িটি সাতটি ভিন্ন ভিন্ন রঙে পাওয়া যায়। গাড়িটিতে রয়েছে ১৫ × ৬.৫ ইঞ্চি স্টিলের চাকা, তবে এতে রান-ফ্ল্যাট টায়ারের সুবিধা নেই। গাড়িটি লম্বায় ১৮০ ইঞ্চি, চওড়ায় ৬৯.৩ ইঞ্চি এবং উচ্চতায় ৫৭.৯ ইঞ্চি।
ইন্টেরিয়র
একটি হ্যাচব্যাক হিসেবে ৫ আসনের এই টয়োটা প্রিয়াস মডেলটি যথেষ্ট প্রশস্ত। এতে রয়েছে ১০১ ঘনফুট প্যাসেঞ্জার ভলিউম, সেইসাথে আছে ২৭.৪ ঘনফুটের বিশাল কার্গো স্পেস। যথেষ্ট হেডস্পেস থাকায় আপনি যদি অনেক লম্বাও হন তবুও আপনার চিন্তার কিছু নেই। বেশ সহজে আর আরামদায়কভাবে বসেই আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন। প্রিয়াসের চমৎকার ককপিটে ৩৯.৪ ইঞ্চির হেডরুম ও ৪২.৩ ইঞ্চির লেগরুম রয়েছে।
ফুয়েল ইকোনমি
ঢাকার রাস্তায় টয়োটা প্রিয়াস ৫৮ মাইল/গ্যালন ফুয়েল ইকোনমি প্রদান করে থাকে। অন্য আরেকটি গাড়ির সাথে তুলনা করি- হোন্ডা ইনসাইট গাড়িটি প্রদান করে ৫৫ মাইল/গ্যালন। অন্যদিকে, হাইওয়েতে টয়োটা প্রিয়াসের ফুয়েল ইকোনমি দাঁড়ায় ৫৩ মাইল/গ্যালন-এ। আর হোন্ডা ইনসাইট এর ফুয়েল ইকোনমি পাওয়া যায় ৪৯ মাইল/গ্যালন।
প্রিয়াসের জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা ১১.৩ গ্যালন। আর ঢাকার মতো শহুরে রাস্তায় এই গাড়ির রেঞ্জ ৬৫৫ মাইল। অন্যদিকে, ইনসাইটের জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা ১০.৬ গ্যালন এবং এর রেঞ্জ ৫৮৩ মাইল। প্রিয়াস এবং ইনসাইটের হাইওয়ে রেঞ্জ যথাক্রমে ৫৯৯ মাইল ও ৫১৯ মাইল।
পারফরম্যান্স
প্রিয়াসে রয়েছে একটি ১.৮ লিটারের ৪ সিলিন্ডারবিশিষ্ট ইঞ্জিন, যা সর্বোচ্চ ১২১ হর্সপাওয়ার শক্তি এবং ৫,২০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। গাড়িটির ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার/ঘন্টা গতিতে পৌঁছাতে সময় নেয় মাত্র ৯.৬ সেকেন্ড। অনেক ধীর মনে হচ্ছে? তবে একবার গতি অর্জন করার পর গাড়িটি আপনাকে ১১২ কিলোমিটার/ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি এনে দিতে পারে।
প্রযুক্তি
টয়োটা প্রিয়াস মডেলটিতে রয়েছে একটি তিন স্পীকারের অডিও সিস্টেম। সেই সাথে আছে ইনফোটেইনমেন্ট, যা গাড়ির যাত্রীদের যাত্রাকে করে তুলবে আনন্দদায়ক। এই ইউজার-ফ্রেন্ডলি সিস্টেমটি আপনার অ্যাপল বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ব্লুটুথ বা ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে সংযুক্ত করা যায়, যার সাহায্যে আপনি অডিও স্ট্রিমিংয়ের পাশাপাশি কলিং সার্ভিসগুলোও অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
নিরাপত্তা
প্রিয়াস উন্নত মানসম্মত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এই গাড়িটি অসংখ্য ড্রাইভার-অ্যাসিস্ট এবং নিরাপত্তা প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে কলিশন-অ্যাভয়েডিং অ্যাসিস্ট, ব্রেকিং সিস্টেম, অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল এবং লেন ডিপার্চার ওয়ার্নিং।
টয়োটা প্রিয়াস সম্পর্কে আপনি আরও জানতে চাইলে আমাদের সাথে কথা বলতে পারেন। আপনি যে মডেলই পছন্দ করুন না কেন, দেশঅটো‘র মাধ্যমে সহজেই গাড়িটি নিতে পারেন। আমরা জাপানের অকশন মার্কেট থেকে সরাসরি বিট করে গাড়ি কিনি। এবং নামমাত্র প্রুফিটে কাস্টমারকে পৌঁছে দেই।
তাছাড়াও পুরাতন গাড়ী ক্রয়-বিক্রয়ে ক্ষেত্রে, কিংবা গাড়ির যে কোনো ধরণের পার্টসপত্র কিংবা সার্ভিসিং এর জন্য দেশঅটোর সেবা নিতে পারেন।
Engine servicing with i) Semi-synthetic lubricant oil or ii) Full synthetic lubricant oil plus original & genuin Filters within your choice and budget.